আমার জানা মতে, মানুষ সবচেয়ে বেশী প্রতারিত হয় মোবাইলের দোকানে গিয়ে! হ্যাঁ, কথাটি ১০০% সত্য। যদি, আপনি সম্পূর্ণ লেখাটি পড়েন তবে বুজতে পারবেন।
ঘটানাঃ একসময় আমি গিয়েছিলাম মোবাইলের দোকানে একটা জিমেইল আইডি খোলার জন্য। আমার থেকে একটা জিমেইল একাউন্ট খোলার জন্য চাওয়া হয়েছিলো ১০০টাকা! আমি অবাক হয়ে গেলাম! পরে না খুলে চলে আসলাম। বাসাই এসে ইন্টারনেট এ সার্চ দিয়ে মাত্র দুই মিনিটেই জিমেইল আইডি খুলে ফেলছিলাম। তখন আরো অবাক হয়ে বসলাম! যেখানে একটা জিমেইল খুলতে দুই টাকা আর দুই মিনিট খরচ হয় না সেখানে মোবাইলের দোকানদার খোজল ১০০টাকা!
মিথ্যা কথাঃ ফেসবুক আইডি খোলার জন্য চাওয়া হয় ৫০ থেকে ১০০টাকা। একটা ফেসবুক খুলতে মাত্র ২মিনিট লাগে। ইন্টারনেট বিষয়ে অভিজ্ঞ নয় লোকেরা মোবাইলের দোকানে গিলে তাদের সাথে মিথ্যা কথা বলে অনেক কিছু করতে হবে বলে ১০০টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়।(প্রমাণিত)
মোবাইল কিনতে যাওয়ার আগেঃ আপনি যদি কোন মোবাইল নিতে চান তাহলে ঐ মোবাইলের নাম লিখে গুগুলে সার্চ দিন। Example: আপনি যদি Samsung j1 কিনতে চান গুগুলে সার্চ দিন Samsung j1 bd price তাহলে ঐটার অর্জিনাল রেট জানতে পারবেন। ফলে, আপনার থেকে মোবাইল দোকানদার বেশী টাকা নিতে পারবে না।
মোবাইল ঠিক করতে যাওয়ার সময়ঃ এই জিনিসটা বেশীরভাগ লোক ভুল করে থাকে। যে মোবাইলের কোন সমস্যা হলে মোবাইল ঠিক করার জন্য দোকান ওয়ালাকে দিয়ে আসে। ভুলেও এই কাজ করবেন না। পরিচিত হোক বা অপরিচিত হোক। যতক্ষন মোবাইল ঠিক না হয় ততক্ষন অপেক্ষা করে মোবাইল ঠিক হলে নিয়ে চলে আসুন। এতে আপনি নিরাপদ থাকবেন।
মোবাইলের ব্যাসিকঃ অনেকে মোবাইল ফ্লাস দেওয়ার জন্য ও মোবাইলের সেটিং বেশকম হয়ে গেলে মোবাইল ঠিক করার জন্য নিয়ে যান মোবাইল দোকা্নদারে কাছে। মোবাইল ফ্লাস দেওয়ার জন্য ১০০টাকা খোঁজা হয়। অথচ, এই মোবাইল ফ্লাস দেওয়ার জন্য তাদের থেকে কোন টাকা খরচ করতে হবে না। শুধু ১০ মিনিট সময় লাগবে ফ্লাস দিতে। আর নিয়ে ফেলা হয় ১০০টাকা বা তার বেশী টাকা। এইরকম মোবাইলের ব্যাসিক সমস্যা নিয়ে মোবাইলের দোকানে না যাওয়ায় ভালো। কারণ, বেসিক সমস্যাগুলো লোকে আপনাকে ফ্রিতে করে দিবে। যেমনঃ আমরা মোবাইল ফ্লাস দেওয়া ফ্রিতে করে দিই। অথবা আপনি চাইলে মোবাইল নিজেও ফ্লাস দিতে পারবেন। জানতে চাইলে, মোবাইল কিভাবে ফ্লাস দিবো লিখে ইউটিউবে সার্চ দিন। এইরকম মোবাইলের ব্যাসিক সমস্যা হলে গুগুল বা ইউটিউবে সার্চ দিয়ে শিখে নিবেন।
দাম-দরঃ দুনিয়ার সবার সাথে দাম-দর না করলেও; মোবাইল দোকানদারের সাথে আগে দাম-দরের ব্যপারটা সেরে নিবেন। নইলে কিন্তু আপনার কপাল খারাপ। আমি অনেকবার সামান্য কাজের জিনিস দাম-দর না করে প্রতারিত হয়েছি (আমার থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছিলো)। তাই, যত সামান্য জিনস ই হোক আগে দাম-দর করে নিবেন।
বিঃদ্রঃ মানুষকে সচেতন করার জন্য এই পোস্টটি করলাম। এতে যদি কোন মোবাইল দোকানদার কষ্ট পেয়ে থাকে সেটি সম্পূর্ণ কাকতালীয় ব্যাপার। হ্যাঁ, সব মোবাইল দোকানদার এক নাও হতে পারে!
No comments:
Post a Comment