Saturday, January 6, 2018

প্রতারণা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ইন্টারনেটে। নতুন নতুন কৌশলে প্রতারকরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

ভাই গতমাসে ২৫০০ টাকা লস খাইলাম। অনলাইনে প্রতারণার ভোক্তভোগী এক ব্যাক্তির কথা।
পরে আমি যাচাই করে দেখলাম ওনার মত হাজার হাজার লোক প্রতারণার শিকার হয়ছে। 

প্রতারকরা ভিবিন্ন উপায়ে  ভিবিন্ন কৌশলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

তার কিছু কৌশল নিম্নে উল্লেখ করলামঃ

প্রতারণা ১ঃ গত ২০১৭ সালে বেশ কয়েকটি ফেইক সাইট আবিস্কার করে প্রতারক চক্র। এই সাইটগুলো ইনবেস্ট করে বেশী ইনকামের কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এরা প্রথমে লোভ দেখায় ১০মিনিট কাজ করে ৮০ টাকা ইনকাম করুন প্রতিদিন। এর জন্য আপনাকে ১৫০০ টাকা দিয়ে আইডি একটিব করতে হবে। এই লোভে অনেকে ১৫০০ টাকা দিয়ে আইডি একটিব করে আর প্রতারণার শিকার হয়। আরে ভাই ১০মিনিট কাজ করে ৮০টাকা ইনকাম হলে গরিব বলে কাওকে খুঁজে পাওয়া যেত না। সুতরাং, এইরকম লোভে কেউ পরে টাকা হারাবেন না। ২০১৮ সালের শুরুতেও এইরকম আরো প্রতারণামূলক সাইট বের হয়ছে। সাবধান! ওরা তাদের ব্যবসার জন্য স্ক্রিণশট ও দেখাবে।

প্রতারণা ২ঃ ভিবিন্ন ফেসবুক গ্রুপ খুলে ঐ গ্রুপে মেম্বার এড করে প্রতারক চক্র। ভিবিন্ন ভুয়া তথ্য শেয়ার করে সরল মানুষদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। অপরিচিত গ্রুপে এড হয়ে টাকা ইনবেস্ট করবেন না। যে যেইরকম অফার ই করুক না কেন!


প্রাতারণা ৩ঃ ডোমেইন হোস্টিং বিক্রির নামে প্রাতারণা করেছে কিছু প্রাতারক চক্র। এরা ডোমেইন হোস্টিং কম দামে দিবে বলে আগে টাকা নিয়ে নেয়। এরপর ওদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ডোমেইন আর হোস্টিং অবশ্যই নির্ভরযোগ্য সাইট থেকে কিনবেন। কম দামে নিলে ওরা কয়েক মাস পর পর ডোমেইন নষ্ট করে টাকা খুঁজবে। তাই, লোভে পরে কম দামে কোন নতুন সাইট ও কোম্পানি থেকে ডোমেইন হোস্টিং কিনবেন না। 

প্রতারণা ৪ঃ ভদ্র ফেইক আইডি! টাইটেল শুনে অবশ্যই অবাক হচ্ছেন। হ্যাঁ, এই প্রতারণার শিকার অনেক সহজ-সরল মেয়ে। কিছু কিছু হিজলা পুরুষ ফেসবুকে মেয়ে নামের আইডি খুলে ইসলামের
ভালো ভালো কিছু লেখা শেয়ার করে। শুরুর দিকে ওরা এইরকম ভালো লেখা শেয়ার করার কারণে ও মেয়ের আইডি বলে জনপ্রিয় হয়ে যায়। নিজেকে এমনভাবে উপস্থিত করবে ফেসবুকে প্রোপাইল ঘুড়ে মনে হবে মেয়ে আইডি। যাই হোক, পরবর্তীতে তারা ভিবিন্ন সহজ-সরল মেয়েদের সাথে মেসেজে কথা বলে। সেলিব্রেটি আইডি হওয়ার কারণে ও ভালো লোক মনে করে অনেকে তাদের সাথে সম্পর্ক করে তুলে। পরবর্তীতে নাম্বার চাইলে আবেগের বশে নাম্বার দেই। তারপর ছবি ও দেই আবেগে। মেয়েরা মনে করে ইসলামি বোনকে ছবি দিলে ক্ষতি কি! আর এই সুযোগে ভদ্র হিজরারা তাদের ছবি ও নাম্বার পেয়ে তাদের ব্ল্যকমেইল করে। আর হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

প্রতারণা ৫ঃ কেউ কেউ আবার কাজ শিখাবে বলে টাকা নিয়ে, অল্প শিখিয়ে চলে যায়।

বিঃদ্রঃ আরো অনেক কৌশল আছে। অন্তত, কেউ অনলাইনে কাউকে ইনবেস্ট করবেন না। আর লোভের দিকে পা বাড়াবেন না। যদি কাজ শিখতে চান ও করতে চান অবশ্যই অভিজ্ঞ লোকের পরামর্শ নিবেন।


1 comment: