তাহলে কি করবেন! ফ্রিল্যান্সিং?
এই লেখাটি পড়ে সিদ্ধান্ত নিন ক্যারিয়ার হিসেবে চাকরি না ফ্রিল্যান্সিং কে বেঁচে নিবেন।
১। প্রথমত, ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করলে সরকারকে ভ্যাট দিতে হবে না। অন্যদিকে ব্যবসা বা চাকরি করলে সরকারকে ভ্যাট দিতে হবে।
২। একজন লোকের লেখা-পড়া শেষ করে চাকরি ধরতে ধরতে চলে যাই জীবনের মূল্যবান ২৫বছর সময়! অন্যদিকে একজন ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য মাত্র ২মাস সময় দিয়েই ইনকাম করা যায়। পরিপূর্ণ হতে ১বছর সময় লাগে।
৩। ফ্রিল্যান্সাররা হল স্বাধীন। অন্যদিকে, যারা চাকরি করে তারা হল অস্বাধীন!!! মানে, কোন বস বা কোম্পনির নিয়মের ভিতর আবদ্ধ। একটু বেশকম হলেই ঝাড়ি খেতে হই বা চাকরি ও হারাতে হয় অনেককে।
#যাই হোক, যারা চাকরি করে আমি তাদের দুর্নাম করতে চাই না। আমি জানাতে চাই ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সুবিধাসমূহঃ
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্মানজনক পেশা। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার ফ্রিল্যান্সিংকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে।
#বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকে তাদের পরিবারের খরচ চালাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সারদের ইনকামের কোন ধারাবাহিকতা নাই। এরা মাসে ৫ হাজার থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কামাতে পারে।
#আমি আপনাকে বলব না ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য। এই জিনিসটা এত সহজ না। কোন ভ্যাট না দিয়ে নিজের ব্যবসার মত যখন খুশি কাজ করে ইনকাম করবেন এই জিনিসটা এত সহজ কী হতে পারে? হ্যাঁ, হতে পারে। যদি, আপনি ধৈর্য্য,পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করে কাজ করেন।
#পৃথিবীতে টাকা কামানো সবচেয়ে কঠিন কাজ!!!
ফ্রিল্যান্সিং করলেও আপনাকে শ্রম করে টাকা কামাতে হবে। কাজ করতে করতে একসময় এইখানে সফল হওয়া যায়। টাকা এসেই আপনাকে ধরা দিবে, যদি এইখানে লেগে থাকেন!
পরামর্শঃ এখন আপনি কি চাকরি করবেন নাকি ফ্রিল্যান্সিং করবেন সেটা আপনি সিদ্ধান্ত নিন। ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে চাইলে, আপনার ধৈর্য্য,পরিশ্রম,চেষ্টা এই ৩টি জিনিস থাকতে হবে। যদি এইগুলো না থকে তাহলে এইখানে না আসায় ভালো।
No comments:
Post a Comment