শর্ট লিঙ্কঃ আপনি যখন কোন ওয়েবসাইটকে প্রচার করবেন তখন ঐ ওয়েবসাইটের লিঙ্কটি সর্ট লিঙ্ক করে নিন। কারণ লিঙ্ক শর্ট করলে কোথায় মার্কেটিং করে আপনি সফল হচ্ছেন তা জানতে পারবেন। লিঙ্ক শর্ট করতে না জানলে আমাদের লিঙ্ক সর্ট করার লেখাটি পড়ে আসুন http://onlinejonaki.blogspot.com/2017/12/googl.html ।
ফেসবুকঃ
যেভাবে ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করবেনঃ
১। প্রথমে আপনার ওয়েবসাইট বা পণ্য নিয়ে একটা ফেইসবুক গ্রুপ খুলুন। নিজের ফেসবুক ফ্রেন্ডের ঐ গ্রুপে এড করুন। গ্রুপের আপনার ওয়েবসাইট বা পণ্য নিয়ে ভালো ভালো আর্টিকেল লিখে শেয়ার করুন। প্রতিদিন ৩টি আর্টিকেল শেয়ার করুন , ৩টির চেয়ে বেশী করবেন না , ৩টি না পারলে অন্তত একটি আর্টিকেল শেয়ার করবেন। আপনার গ্রুপের মেম্বার বাড়ানোর জন্য আপনার ফ্রেন্ডদেরকে মেম্বার এড করতে বলুন। যত সম্ভব গ্রুপে মেম্বারদেরকে আকৃষ্ট করুন যাতে কেউ গ্রুপ থেকে ব্যাক না দেই।
২। আপনার ওয়েবসাইট বা আপনার সেবা সম্পর্কিত বিষয়িক ভিবিন্ন ফেসবুক গ্রুপে এড হন। যেমনঃ আপনার ওয়েবসাইট যদি ইসলাম বিষয়ে হয় আপনি ইসলামি বিষয়ক ভিবিন্ন গ্রুপে এড হোন, আর ঐখানে আপনার ইসলাম বিষয়ে লেখা আর্টিকেল গুলো শেয়ার করুন। দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়তেছে।
৩। ফেসবুক পেইজঃ আপনার ওয়েবসাইটের ও কোম্পানী থাকলে কোম্পানীর নাম দিয়ে একটি ফেসবুক পেইজ খুলুন। পেইজে আপনার সেবা সম্পর্কিত পোস্ট শেয়ার করুন। এইভাবে পোস্ট লিখবেন যেন মানুষ পেইজের লেখা পড়তে আগ্রহী হয়। ভালো ভালো লেখা ও মানুষকে আকৃষ্ট করে এইরকম আর্টিকেল শেয়ার করুন। দেখবেন পেইজের ভিজিটর বাড়তেছে। আপনার ফ্রেন্ডদের পেইজে ইনবাইট করুন । আপনার ফ্রেন্ডদেরকে বলুন তারাও যেন তাদের ফ্রেন্ডদের আপনার পেইজে ইনবাইট করে। পেইজে প্রতিদিন ৩টির বেশী আর্টিকেল শেয়ার করবেন না। যদি, আপনার পেইজ অনলাইন শপ বিষয়ক হয় তাহলে একাদিক শেয়ার করতে পারেন।
৪। ফেসবুক ট্যাগ ও কমেন্টঃ আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লেখা ফেসবুকে ওয়ালে শেয়ার করে ফ্রেন্ডদের ট্যাগ করুন। অবশ্যই ট্যাগ ও ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করতে হিসাব করে করবেন যাতে কেউ বিরক্ত না হয়। যদি কেউ পোস্ট করে আমার Windows10 অটো আপডেট হয়ে যায়, হেল্প। এই বিষয়ে যদি আপনার ওয়েবসাইটে লেখা থাকে তাহলে ঐ লিঙ্কটি শেয়ার করুন। দেখবেন, সে আজীবন আপনার সাইটের ফলোয়ার হয়ে যাবে। এইটা একটা ইমোশনাল মার্কেটিং!
৫। ফেসবুক শেয়ারঃ আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেল যদি ৫০জনের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার হয় একবার ভেবে দেখুন আপনার সাইটে কত ভিজিটর আসতে পারে? এর জন্য, অবাক কোন কিছু লেখা ও মানুষ পড়ে উপকৃত হবে এইরকম আর্টিকেল ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করুন। আর ফ্রেন্ডদের ইনবাইট করুন ঐ আর্টিকেল শেয়ার করতে, তাহলে তারা শেয়ার করবে। আপনার আর্টিকেল যদি খুব ভালো হয়, এমনিতেই কিছু কিছু লোকেরা আপনার আর্টিকেল শেয়ার করবে।
টুইটারঃ
ফাইবার গিগ ও ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর এক সহজ উপায় হল টুইটার! হ্যাঁ, অবাক লাগলেও কথাটি সত্য। আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্কের বর্ণনা দিয়ে লিঙ্কটি টুইটারে শেয়ার করুন। দুইটি ভিজিটর হলেও আসবে! বেশী ভিজিটর আনার জন্য উপায় হল টুইটার কমেন্ট। আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক গুলো গুগুল শর্ট লিঙ্ক করে ভিবিন্ন পোস্টে কমেন্ট করুন, দেখবেন ভিজিটর বাড়তেছে। অবশ্য লিঙ্কটি কি বিষয়ে ছোট করে বর্ণনা দিবেন। অনেকে, ভিজিটর আনার জন্য ফেইক বর্ণনা দিয়ে থাকে এইটা কিন্তু সঠিক মার্কেটিং না। আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়বে কিন্তু সাইটের মান কমে যাবে।
Linkedin:
ওয়েবসাইটের ভিজিটর ও পণ্যর প্রচার করার জন্য লিঙ্কেডিন ও কাজে আসে। এর জন্য আপনি আপনার লিঙ্কেডিন ওয়ালে আর্টিকেল শেয়ার করুন। খুলতে পারেন, একটি কোম্পানী পেইজ। আর মানুষদের আপনার ওয়েবসাইটের পেইজে আমন্ত্রণ করুন। চাইলে, টুইটারের মত কমেন্ট করে ভিজিটর আনতে পারেন। ওয়েবসাইটের ভিজিটরের জন্য ভুল পথে কেউ কমেন্ট করবেন না।
Google+:
গুগুল+ একটি ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। Us, Canada & African ভিজিটর পাওয়ার জন্য এইটি খুব কাজে আসে। এর জন্য এইখানে একাউন্ট খুলে নিজের পণ্য ও ওয়েবসাইটের প্রচার করুন। ভিবিন্ন কমিনিকেশন এ জয়েন হোন আর সেবা সম্পর্কিত বিষয় শেয়ার করুন।
এছাড়াও, চাইলে ভিবিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট খুলে মার্কেটিং করতে পারেন। গুগুলে টপ ১০০ সোশ্যাল মিডিয়া লিখে সার্চ দিলে এই বিষয়ে জানতে পারবেন। মার্কেটিং এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অতুলনীয়।
আপনার ওয়েবসাইটকে ভিবিন্ন ব্লগে কমেন্ট করে ও ওয়েবসাইটের ভিজিটর আনতে পারবেন। এছারাও, মার্কেটিং এ রয়েছে SEO, Affiliate Marketing, Email Marketing, Video Marketing . আপনি চাইলে এইসব মার্কেটিং করেও আপনার ওয়েবসাইট, পণ্য ও সেবা পৌঁছে দিতে পারেন সারা বিশ্বের মানুষের কাছে। এই বিষয়ে পরবর্তীতে পোস্ট করা হবে।
মার্কেটিং জিনিসটা বিশাল বড় অধ্যায়। এইখানে লিখে শেষ করা যাবে না। অনেক কষ্ট করে লিখলাম! আশা করি, যা লিখছি উপকারে আসবে।
No comments:
Post a Comment